Friday 15 November 2019

দুই বিঘা জমি (২.৭৭ to be more precise)


pc:wikipedia.org











কবিগুরু ক্ষমা করিও।......নেহাতই হিজিবিজি।

শুধু বিঘে দুই জমি নিয়ে আজ অবসান হলো লড়াই, 
করিলেন রাজা ঘোষণা আজিকে জগৎসভায় বড়াই !
কহিলাম আমি, তুমি ভূস্বামী, কেমনে  দিলে এ রায় ,
বোঝো নাকি রাজা, তোমার রাজ্যে প্রজারা শান্তি চায়?
শুনি রাজা কহে, বাপু জানো তো হে, হাতে আছে প্রমান,
বিচারপতির  ন্যায্য বিচারে, অধিকার সব সমান!
বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি–
উদাসীন প্রজা ক্লান্ত আজিকে বিচার হলো একি!
সজল চক্ষে কহিনু রাজারে, যদি সত্যি বাসিতে ভালো,
দেবতারে ঘরে বন্দি না করিয়া, জ্বালাতে জ্ঞানের আলো !
যেই দেশে হায়, শিক্ষার অভাবে সমাজ তমসাময়,
মহারাজ  ......
দুবিঘাতে তুমি গড়িলে না কেন সেথায় বিদ্যালয়?

No pun. No double meaning. No nothing.


*************************************************************
2.77 acres, to be precise

2.77 acres of land, the end of the legal fight,
Verdict has been declared by the king alright!
Your Highness, O landlord, do you not hear?
the judgement is painful for your subjects to bear.
" Based on evidence" said he with an air,
"Justice has been served, rightful and fair".
I looked around me, only to find....
wounded and shocked, the heart and the mind.
With tears in my eyes, I challenge him loud,
if only you cared, you would have found,
Your people need education to bring in the light
of progress and peace, the future so bright!
HE needs no more houses, HE is everywhere, 
2.77 acres of land, why can't you build a school there?
******************************************************************************************


Adapted and Inspired from:
"Dui Bigha Jomi" is a Bengali language poem written by Rabindranath Tagore.The poem describes a peasant's love towards his land and was the inspiration for the story Rickshawala, on which the Hindi film Do Bigha Zamin, directed by Bimal Roy, was based.


  

Tuesday 1 October 2019

"Local " দশভুজা



যাচ্ছি আমি বাপের বাড়ি, সঙ্গে ছেলে মেয়ে,
সারা বছর বসে থাকি এই দিনের দিকে চেয়ে ।
গুছিয়ে শাড়ি, গুছিয়ে বাড়ি দেব আমি পাড়ি ,
বছরে এই একটি বারই যাই যে বাপের বাড়ি । 
শিবুকে বলি চলোনা সাথে, তুমি মর্তের জামাই,
তার নাকি কৈলাশে কাজ করা যাবেনা কামাই ।
পুজোর ধুতি দিলেম কিনে তবু ও বাঘের ছাল
নন্দী ভৃঙ্গী ভূত দুটোতেই করেছে  এই হাল ।
মর্তে যাবার রাস্তাও তো লম্বা খানিক বেশ
নৌকা, ঘোড়া, ট্রেনে চেপেও রাস্তা হয় না শেষ ।
চার চারটে বাচ্চা নিয়ে ট্রাভেল কি আর সোজা?
আমিও খাই হিমশিম ওরে  যদিও দশভূজা ।
গনেশ আমার সাধাসিধে কিন্তু পেটুক বড়,
চপসিঙ্গারা খাবে রাস্তায় যতই বারণ করো  ।
বোঝাই কত, এই বয়সে বাড়ছে কেন  ভুঁড়ি,
ঘিয়ে ভাজা লাডডু খেতে নেই তবু তার জুড়ি!
সরস্বতী উঠেই ট্রেনে বইয়ের ভেতর মুখ,
পাইনা ভেবে পড়াশোনায় কিসের এত সুখ ।
ঘরের কাজে ছিটেফোঁটাও নেই কোনো তার মন,
শিবু বলে, chill গিন্নি, ঠিক শিখবেখন ।
লক্ষী আমার ব্যাগ সামলায় টাকা পয়সা বিল
এক নয়াও হিসেবে কিছুর হয়না গড়মিল।
চাল ডালের ভাঁড়ার সবই রাখে সঠিক ভরে,
এক পাতা অঙ্ক দিলেই , তখন মাথা ঘোরে  !
কার্তিকটা বড়ই ফাজিল  এদিকওদিক চোখ,
সব স্টেশনে নামা চাই ওর, ভিড় যতই হোক।
ফিনফিনে গোঁফ বাবরি চুলের বাহার দেখে ভাবি ,
মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে কোথায় বা আর যাবি ?
এরওপর এ আছে সবার নিজের নিজের pet,
তাতেই যাবে সময় খানিক করতে তাদের set।

যাকগে এসব সংসার কথা থাকি কদিন ভুলে,
'ঘর ঘর কি কাহানি' রাখি নাহয় তুলে ।
মর্তে সবাই আহ্লাদে উঠবে কেমন মেতে ,
তাই তো লাগে ভালো আমার বাপেরবাড়ি যেতে ।
আমার মতন দশভুজা সেথায় ঘরে ঘরে,
আমার সকল আশীর্ব্বাদ রইলো তাদের তরে।
দুইটি হাতে হাসি মুখে সামলে চলেছে ধরা,
তারাই শক্তি, হৃদয় তাদের ভালোবাসায় ভরা !
ঘরে ঘরে এই মেয়েদেরই সম্মানে করো পূজা,
এরাই হলো  মর্তলোকের "Local" দশভুজা !

Sunday 28 July 2019

আসল রাজা!

ভট্টাচার্য বাড়িতে এমনিতেই মাছের রমরমা। তারওপর বছরের এইসময় যখন বৌমা আসে তখন যেন মাছ-মাছ রব পড়ে যায়। 
ওরে কে কোথায় আছিস.......
ইলিশ উঠলো বাজারে? পারশে পাওয়া গেলো? পমফ্রেট কত করে কিলো যাচ্ছে? চিংড়ি গলদা চাই । ... 
বৌমা একটু পেটুক প্রকৃতির । বাড়ি এসে দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে মাছ ভাতটা তার বড়ই প্রিয়।যৌথ পরিবারের বৌমা বলে কথা! এক শাশুড়ি ইলিশভাপা বানাচ্ছে তো আরেক শাশুড়ি চিংড়ির মালাইকারি। এক শাশুড়ি লঙ্কাকাটা ঝোল তো অন্যজন ট্যাংরা মাছের ঝাল। 
"বৌমা, কড়া করে দুটো পারশে ভেজে দি?"
কলকাতা যাবার দিন যত এগিয়ে আসছে বৌমা তত নানারকমের স্বপ্ন দেখছে...
এই তো কাল রাতে , দেখে কিনা মাছেদের লোকসভা  ..........

pc:Mousumi Guha

আমি ইলিশ বলছি . .....
মাছের তুমি হিরোই বলো কিম্বা বলো রাজা,
এই শর্মাই বাকি সবার বাজিয়ে দেবে বাজা!!
রূপে গুনে সব কিছুতেই আমি উত্তম অতি,
সারা বাংলা গদগদ, প্রেমে আমার প্রতি !
চকচকে এই রুপালি রঙে মাছের বাজার আলো,
পরিবারের সবাই আমায় বাসে ভীষণ ভালো !
রুই কাতলা বড্ড বোরিং, রোজই থাকে পাতে,
কড়াই ভরা ঝোল, সাঁতরে বেড়ায় তাতে !
পারশে মাছের স্বাদ, ভালোই লাগে ঝালে,
জেলে ভায়া খুশি, পড়লে দুখান জালে !
বাটাখানা কেমন জানি নামেই খেয়েছে মার,
যার নামে জুতো ফেমাস, কি আর হবে তার??
ট্যাংরাভায়া টেস্টি বটে তবে বড্ড যেন রোগা,
চেহারায় নেইকো চটক, পিলে জ্বরে ভোগা !
শোল, আড়, ভীষণ ফ্যাটি রাঁধবে তুমি খেটে ,
খাবার পরে চাই Gelusil, সয়না তেমন পেটে !
ভেটকি-পমফ্রেট চলে, তবে মুচমুচে ফিস fry,
চোওয়া ঢেকুর নিশ্চিত, তবু করতে পারো try !
চিংড়িভায়া মাথামোটা, ডাকসাইটে বোকা,
নিজেকে সে মাছ ভাবে, যদিও জলের পোকা! 
একেবারেই খুচরো হলো পুঁটি মোরোলা কই,
এরাও পেয়েছে মাছের status দেখে অবাক হই !

আমার কথা কি আর বলি, বর্ষামুখর রাতে 
স্বর্গসুখের প্রতীক হয়ে, থাকি বাঙালির পাতে ।
ল্যাজা, মুড়ো, গাদা, পিঠ, সবই যাবে পেটে,
যাই বানাবে আমায় দিয়ে খাবে আঙ্গুল চেটে !
ঝোল রাঁধবে বেগুন দিয়ে কিম্বা সর্ষে ঝাল,
ভাপে দিয়ে মেখে তুমি, ভাত খাবে এক থাল।
খিচুড়িতে ইলিশ ভাজা মুচমুচে আর কড়া ,
প্রথম পাতে জমিয়ে দেবে আমার ডিমের বড়া !!
আমার মাথার ঘন্ট বানাও পুই শাক দিয়ে কষে,
লিখে দিলাম খাবে যে জন ভাত চাইবে শেষে!
কর্তা খুশি, গিন্নি খুশি, ভীষণ খুশি জামাই ,
মাছের রাজা থাকলে পাতে জীবনে আর কি চাই?

রুই কাতলা বাটা পারসে কই মৌরলা ট্যাংরা 
[Chorus ]:

ওগো এবার চুপ করো তুমি, একি ভীষণ জ্বালা, 
'আমি আমি' শুনে আমাদের কান(কো) ঝালাপালা।
তোমার কাঁটা বাছতে গিয়ে চোখের পাওয়ার বাড়ে,
খাবার পরে হপ্তা খানেক বাড়িতে গন্ধ ছাড়ে!
আমরা হলাম বারো মেসে, আমরা নিজের লোক,
তুমি অতিথি অল্প দিনের, বর্ষাকালের ঝোঁক !
বর্ষা যাবে, তুমিও যাবে, এত গর্ব কিসে?
যে কদিন আছো সাথে, থাকো না মিলে মিশে ।
নুন হলুদে মাখিয়ে তেলে সবাই তো মাছ ভাজা,
সবারে সমান দেখে যেজন সেজন আসল রাজা!

[এলার্ম বাজছে, ঘুম ভেঙে গেলো বৌমার ]




Monday 22 July 2019

চন্দ্রযান



"মধুচন্দ্রিমা ট্রাভেলস" বুকিং অফিসের বাইরে বাস স্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ কানে এলো.....

এ::  আচ্ছা দাদা, আপনিও কি "চন্দ্রিমা" প্যাকেজ?


বি::  অবশ্যই ! এখন থেকে বুকিং না করলে সেই ওয়েটিং লিস্ট!  আমাদের যা হয়েছে হোক, ছেলেটাকে যাতে ওয়েটিং লিস্ট এ না থাকতে হয়.....


এ :: আমাদেরও  এক গল্প। গিন্নি জোর করে পাঠালো। একটা মাত্র মেয়ে, আজ বাদে কাল বড় হবে, বিয়ে দেবো , তখন গিন্নির ইচ্ছে একটা "চন্দ্রে মধুচন্দ্রিমা" গিফট করবেন মেয়ে জামাইকে।
কি লাইন দেখলেন? ভোর ৪ থেকে ইঁট পেতে লাইন দিয়েছি। .....

বি : সেই, এ ছাড়া তো গতিও নেই । পৃথিবীতে কি আর মধুচন্দ্রিমার জায়গা খালি  আছে বলুন? এখনই যা অবস্থা, ছেলেমেয়েগুলোর বিয়ে হতে হতে . ....


বি::  যা বলেছেন  দাদা! পরিবেশ দূষণের ঠেলায় নিশ্বাস নিতে পারছিনা! 


এ:: তা বটে তবে ওখানেও তো অক্সিজেন নেই ...


বি::  আরে বাবা, আজ নেই, কাল কিছু না কিছু বন্দোবস্ত হবেই ! 

বৈজ্ঞানিকরা তো এমনি এমনি দিন রাত এক করে কাজ করছেন না !  
"মধুচন্দ্রিমা" প্রমিস করলো কলকাতা থেকে দিনে মিনিমাম দুটো করে চন্দ্রযান ছাড়বে! রাস্তায় জলখাবার প্যাকেজে ইনক্লুডেড !

এ::  বাবা তো, চিন্তা হয়। জানি ওখানে জল ও নেই.


বি::  তা এখানে কোনসা আছে?  চারিদিকে খাবার জলের অভাব ! নেতারা কেবল কথা বলে চলেছে, কাজের বেলায় লবডঙ্কা!

"মধুচন্দ্রিমা" আশ্বাস দিলো, চাঁদে এমন একটা ট্যাবলেট পাওয়া যাবে  যেটা খেলে আর জল খেতে হবেনা ১০ দিন।
ওটা প্যাকেজে ইনক্লুডেড !

এ::  একটাই চিন্তা, চাঁদে wifi  .......

মেয়ে Status আপডেট দিতে পারবে তো? "honeymooning on the moon"? নয়তো গিন্নির এই উপহার একেবারে বৃথা যাবে।...
বাবা মা হওয়ার বড় চিন্তা , সব রকম ভাবতে হয়।

বি: আরে মশাই, আপনি শুধু শুধু চিন্তা করছেন!  Jio পৃথিবীতে এখনই দিনে 5 GB data pack দিচ্ছে। 
মধুচন্দ্রিমা ভরসা দিলো যে চাঁদে wifi তখন আর লাগবেনা । তখন সব কিছু AI ...সেটা ওই "চন্দ্রিমা" প্যাকেজে ইনক্লুডেড !

এ:: তা আপনার ছেলের কত বয়স?

বি :: এই দুই এ পা দিলো।....তবে দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে।...Time flies . 
আপনার মেয়ে?

বি:: না মানে... আমার গিন্নির ওই আগামী মাসের ২৪ তারিখ ডেট  ......
একদিকে Hima Das , অন্যদিকে Muthayya Vanitha. Ritu Karidhal....
আমাদের দুজনেরই ইচ্ছে মেয়ে হোক! 

[বাস এসে গেলো,  উঠে পড়লাম, বাকিটা আর শোনা হলো না ]
....to be continued......

Thursday 11 July 2019

মহারানীর ডাইরি থেকে : Semifinals চলছে...



[ রাজপ্রাসাদ ।  TV চলছে । মহারানী ম্যাচ দেখছেন  । পাশে রাজপুরোহিত, রাজবৈদ্য, রাজজোতিষী ।

ছোটবৌ: রানীমা, চা  দেবো  ?

[রানীমা টিভি থেকে চোখ সরালেন না , কিছুই শুনতে পেলেন না ]

ছোটবৌ: রানীমা,  চা দেবো ? আদা , এলাচ দিয়ে মাসালা টি বানিয়েছি। ঠিক যেমন আপনার প্রিয়।..

মহারানী:   ২২৪!! ছোটবৌ ২২৪!
এখন কি আমার চা খাওয়ার সময়? মাঠে ছেলেগুলো না খেয়ে আছে....
Jonny - Jason দৌড়ে বেড়াচ্ছে।..আমি সেখানে আদা দেওয়া চা খেতে পারি?

ছোটবৌ: না মানে..... ৫০ ওভার না খেয়ে বসে থাকবেন? আজ তিনদিন শুধু সাবু দুধ কলা খেয়ে আছেন আর হিজিবিজি পাঁচালি পড়ছেন! এমনি করলে চলবে?
নিদেন পক্ষে একটু হরলিক্স করে দি? আরে বাবা শরীরটাকে ঠিক রাখতে হবে তো!

মহারানী: আঃ ছোটবৌ, মেলা ফ্যাচ ফ্যাচ কোরনা । তুমি আর কি বুঝবে আমাদের ঐতিহ্য? আমাদের সংস্কৃতি? আমাদের খেলাধুলো? হরি যে কি দেখে  ...... সে যাগ্গে  .....
রাজপুরোহিত, হিজিবিজি পাঁচালির সেকেন্ড stanza টা আরেকবার বলো দিকি। .
বৌমারা মাথায় ঘোমটা দাও।

রাজ্পুরোহিত (দুলে দুলে):
Jonny আর Jason অতি good boy,
ভক্তি ভরে দুইজনা মারে চার ছয় ।
খেলিছে নিষ্ঠাভরে এই দুইজন,
কাপ হাতে ফিরিবে করিয়াছে পণ !

মহারানী: অতি উত্তম !
রাজ্ জোতিষী, আমি কি পূর্ব দিকে মুখ করেই বসে থাকবো? মুখ ঘোরালে আউট হয়ে যেতে পারে ।

 রাজজোতিষী : না মহারানী আপনি একদম চিন্তা করবেন না ।
এখন স্বয়ং রাহু কেতু একসাথে এসে লেগস্পিন-গুগলি  করলেও আউট হবে না |
মঙ্গলে দশা আজ অতি শুভক্ষণ,
ছকে ছকে বাউন্ডারি এমন লগন!
শনি আজ ব্যস্ত আছে অন্য কাজে,
টিম আজ তৈরী জয়ের সাজে !

মহারানী: অতি উত্তম !
রাজবৈদ্য, তুমি টিমের ব্রেকফাস্ট এর আগে হোটেলে গেছিলে তো? সব ঠিক আছে?

রাজবৈদ্য : আপনি একদম চিন্তা করবেন না মহারানী। একেবারে অব্যর্থ ওষুধ দিয়ে এসেছি রানীমা।...
মধু তুলসীপাতা একসাথে বেটে,
খেয়েছে এগারোজন শিল থেকে চেটে !
সাথে ছিলো ফোঁটা তিন আকন্দের রস
বিপক্ষকে তবেই তো হয়েছে যে বশ !


মহারানী: [হাত জোর করে মাথায় ঠেকিয়ে] : জয় মা! মুখ রেখো! জোড়া পাঁঠার কথা আমি ভুলিনি। ..
 রাজবৈদ্য, প্রেসার মাপার যন্ত্রটা  এনেছো তো?

.................খেলা চলছে।...




Sunday 7 July 2019

রানীমার ডাইরি থেকে...Semifinals...

pc:times




England have booked their place in the semi-finals of the Cricket World Cup for the first time since 1992.It's the first time the team has qualified for this deciding stage of the tournament in 27 years!

[ রাজপ্রাসাদ ।  ডিনার । মহারানীমা অপেক্ষা করছেন । দুই বৌ খাবার বেড়ে দিচ্ছে ]

ছোটবৌ: রানীমা, ভাত দেবো  ?

[রানীমা একবার  তাকালেন,  দৃষ্টিতে একটা শূন্যতা , কি যেন ভাবছেন। ....]

ছোটবৌ: রানীমা,  ভাত দেবো ? আজ দিদি শুক্তো বানিয়েছে । ঠিক যেমন আপনি ভালোবাসেন, ঘি ভাজা মশলা দিয়ে  .....

মহারানী:   সাতাশ বছর!!
আমার মনের অবস্থা বুঝতে পারো? সাতাশ বছর!!
তুমি আর কি বুঝবে ছোটবৌ? আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের খেলা। .....

ছোটবৌ: না মানে..... ক্রিকেটই তো! খেলা ! তার জন্য আপনি ভাত খাবেন না? এখনো তো তিন চার দিন দেরি আছে  ...

মহারানী:  ক্রিকেট শুধু ক্রিকেট ? কেবল "খেলা"?  তুমি এটা বলতে পারলে ছোটবৌ?
The only game of a gentleman..........
তোমাকে হরি বলেনি ক্রিকেট মানে কি?
হরি...... হরি.......ও হরি....

ছোটবৌ: I know its an awesome game ! Similar to our Baseball ..আমাদের দেশে ও  ....

মহারানী: রাখো তোমার দেশ! ওখানে তো সবই awesome !
তারওপর তুমি কিনা ক্রিকেটের সাথে baseball এর তুলনা করো? কি সাংঘাতিক স্পর্ধা ! তখনই হরিকে পই পই করে বলেছিলাম। ....তা কে শোনে কার কথা.....

যাগ্গে সে সব কথা।  আজকে আমি এমনিতেই stressed .
যাও, রাজজোতিষী, রাজবৈদ্য আর রাজপুরোহিত  কে তলব করো , আমার দরকারি কথা আছে।
হাতে মাত্র তিনটি দিন !

ছোটবৌ: যথাজ্ঞা  রানীমা!

[Enter রাজজোতিষী, রাজপুরোহিত,রাজবদ্যি]

মহারানী (রাজজোতিষীকে):

হাত গুনে বলো দেখি
জিত নাকি হার,
ব্যাটে বলে কয়খানা
হবে মাঠ পার ?
কপালে আছে লেখা
কত শত রান,
আসবে কি হাতে মোর
ওই কাপখান ?

মহারানী (রাজপুরোহিতকে ):

কোন পাঁচালি পড়লে পরে
Jonny ঘোরাবে ব্যাট,
কোন ফুলে অঞ্জলি দিলে
হবে না HOWZAT !
কোন মন্ত্রে Jofra মাঠে
তুলবে এমন ঝড়,
টপাটপ পড়বে উইকেট
বিপক্ষ নড়বড় !

মহারানী (রাজবদ্যিকে)  :

Moeen Aliর পালস রেট
রাখবে তুমি ধরে,
Liam যেন হাওয়ার বেগে
বলের সাথে ওড়ে।
Morgan কে জড়িবুটি
এমন দেবে বেটে,
মাঠ জুড়ে রান বানাবার
আশ যেন না মেটে !

[নিজের মনে বিড় বিড় করে]
[background music: dhak dhak karne laga...o mora jiyara darrne laga...]

ক্যাঙারুরা যতই লাফাক
আমাদের হবে কাপ,
মাগো,জোড়া পাঁঠা দেবো
পার করো এই ধাপ  !
ফাইনালে জিতবো আবার
এই করেছি পণ,
নতুবা ত্যাজিব Tikka Masala ,
এবং সিংহাসন...

টেনসন এ বাংলা বলছিলাম, এবার নিজের মাতৃভাষায়। ...

Dear o dear, how do I bear,
Three more days of pain?
Dear o dear, the cup is so near
Go get it Jonny-Ben!

বড়বৌ: রানীমা , শুক্তো  দেবো ?

Saturday 8 June 2019

জামাই ষষ্ঠী


নাদুসনুদুস জামাই বসে, নকশি কাঁথা আসন,
আড়াল থেকে আড়চোখেতে বৌ করছে শাসন !
শাউড়িমাতা ঝালর পাখায় দিচ্ছে করে হাওয়া,
বৌয়ের দিকে না তাকিয়ে করলো শুরু খাওয়া !
এক বাটিতে তেতো শুক্ত, অন্য বাটি ডাল
মাছের মুড়ো তাকিয়ে বলে, আমায় পাতে ঢাল !
এক বাটিতে ইলিশ ভাপা মুচকি দেখি হাসে,
কষা মাংস মারছে উঁকি বাটিতে তার পাশে!
বৌয়ের দিকে না তাকিয়ে সোজা পরের বাটি,
গলদাভায়ার মালাইকারি  যত্ন পরিপাটি ।
শেষের পাতে চাটনি পায়েস, ল্যাংড়া দুখান আম,
শাউড়িমাতা আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিলেন ঘাম।
"আহা বাছা আর দুমোঠো দিই না এনে ভাত,
রেঁধেছি সব তোমার প্রিয়, তবুও  খালি পাত ?"
জামাই ভাবে,
"যে জিনিস দিয়েছো মাগো সাতটি পাকে বেঁধে,
সে পাপ কি আর খন্ডাবে মা, পাঁচব্যঞ্জন রেঁধে?"

--সকল জামাইদের হিজিবিজির অভিনন্দন।.....

Tuesday 23 April 2019

ভালো রে ভালো ২


pc:hindustantimes

[disclaimer: ব্যঙ্গধর্মী রচনার স্বার্থে বেশ কিছু মন্দ জিনিসকেও হিজিবিজি কবি এখানে  "ভালো" বলিয়াছেন । ওনাকে ভুল বুঝিবেন না। নিজেদের বিবেচনা অনুযায়ী "ভালো"র জায়গায় "কালো" বসাইয়া  নেবেন । তাতে ছন্দপতন  ঘটিবে না ]
😁

দাদাগো, দেখছি ভেবে অনেক দূর.......

(এই) 
নির্বাচনের সকল ভালো,
আসল ভালো নকল ভালো।
সস্তা ভালো দামিও ভালো,
তুমিও ভালো আমিও ভালো ।
হেথায় পদ্ম ফুলও ভালো,
ভ্যানিশ নোটের ভুলও ভালো,
কারুর হাতের ছাপ ভালো,
খুচরো কিছু পাপ ভালো।
হাতুড়ি ভালো, কাস্তে ভালো,
প্রগতি একটু আস্তে ভালো!
ঘাসের সবুজ রঙও ভালো,
দেশভক্তির ঢঙও ভালো!
তুম ভালো আপ ভালো,
দুর্নীতির অভিশাপ ভালো !
চৌকিদারের লাঠিও ভালো,
পাপ্পু রাজার কাঠিও ভালো,
মিথ্যে কথার মায়া ভালো,
বেকারত্বের ছায়া ভালো !
মাইকে কেবল ভাষণ ভালো,
দুস্টু নেতার শাসন ভালো !
বিরোধীদলের জোট ভালো,
Minorityর ভোট ভালো!
কথায় কথায় ছুটি ভালো,
Glutenfree রুটি ভালো!
প্রজার চোখের জল ভালো,
ঠকিয়ে নেবার ছল ভালো।
পুন্য ভালো, পাপ ভালো
ইসবগুলের চাপ ভালো! 
(সব শেষে),
গঙ্গা জলে নাইতে ভালো, 
কিন্তু সবার চাইতে ভালো  .....
                নখের ওপর কালির দাগ  ...

(সবাই ভেবেচিন্তে ভোট দিও।)


অনুপ্রেরণা : সুকুমার রায় (ভালো রে ভালো )

Tuesday 29 January 2019

ঠাকুমার ঝুলি থেকে -একটি অমূল্য সম্পদ



কদিন ধরেই মা কে বলছি পুরোনো audio-cassette গুলো ফেলে দিতে। 
মায়ের হাতে এখন স্মার্ট ফোন।Youtube এর দৌলতে, সমস্ত রকমের গান বাজনা মায়ের হাতের মুঠোয় (literally!)। খুব গান শোনে মা!
অথচ মায়া করে প্রচুর cassette রেখে দিয়েছে বাইরের ঘরে সাজিয়ে। আর শুধু সাজিয়ে রাখলেই তো হলো না, তাকে রোজ ঝাড়পোছ ও করতে হয়, যা ধুলো! 
তারওপর আবার মায়ের passion  ঘর সাজানো  !
খুঁজলে ভগবান পেয়ে যাবে কিন্তু আমাদের বাড়িতে এক কণা ধুলো খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন!

যাইহোক, মনে হলো কথাটা মনে ধরেছে। বললো,
"সত্যি ওগুলো সাজিয়ে রেখে কি লাভ? আজকাল যখন শোনাই হয় না, ঠিকই বলেছিস " 

গতকাল  আবার ফোন করেছিলাম । 
"কি হলো, সব ফেললে?"
"হ্যাঁ , তুই বলার পর সব ফেলে দিলাম।  শুধু দু একটা ভালো রেখে দিলাম।..."

আমি মনে মনে ভাবলাম , তাহলেই হয়েছে! "দু একটা" মানে জানা আছে!
😀

আজ বিকেলে অফিস থেকে ফিরছি। whatsapp এ মায়ের মেসেজ । একটা audio-clip।
মা গান ভালোবাসে, ভালো কিছু শুনলে শেয়ার করে । ভাবলাম নিশ্চয় একটা গানই হবে। 
(কারণ অন্য সব ফরওয়ার্ড মানা করা আছে ;-) ....)

চালালাম audio ক্লিপটা  .......

"এক ছিল রাজা, তার ছিল দুই রানী  ......."

গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। আরে এতো আমার ঠাকুমার গলা! 

দুর্গাপুর এর বাড়িতে বসে ঠাকুমা আমাকে আর ভাইকে গল্প শোনাচ্ছিল। 
বহুদিন আগের কথা, কিন্তু কি আশ্চর্য রকমের ঝকঝকে ছবি ভেসে উঠলো স্মৃতির ঝোলা থেকে।

ঠাকুমা থাকতেন জামশেদপুরে।  আমরা থাকতাম দুর্গাপুরে। গরমকালে ঠাকুমা লম্বা ছুটিতে আসতেন আমাদের কাছে। রোজ ঠাকুমার কাছে গল্প শুনতাম । ঠাকুমার ঝুলিতে অনেক গল্প ছিল। মাঝে মাঝে সন্ধেবেলা লোডশেডিং হয়ে যেতো। বাগানে ফোল্ডিং খাট পেতে আমরা বসতাম। জোনাকির আলো, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, সাথে ঠাকুমার গল্প ! কোথায় লাগে তোমাদের আজকের "Netflix"!!
ঠাকুমার আঁচলের আড়াল ছিল জগতের safest জায়গা। মানে  মা বাবার বকাঝকার আয়ত্তের বাইরে।
সেই কটা দিন মায়ের চোখ রাঙানি ভ্যানিশ ! বাবার গম্ভীর গলা ভ্যানিশ !
সেবার গরমকালে নতুন নতুন একটা টেপ-রেকর্ডার কেনা হয়েছে। National Panasonic ।
বাড়িতে মারাত্মক উত্তেজনা। যা কিছু ঘটে, সেটাই রেকর্ড করা হয়। নিশ্চয় এমনি একটা মুহূর্তে ঠাকুমার গল্প ও রেকর্ড করা হয়েছিল।
এই গল্পটা ঠাকুমার ফেভারিট গল্প ছিল, আমরা বহুবার শুনেছি ।তবু ভালো লাগতো।  
সেই এক রাজা, তার দুই রানী। একজন ভালো, একজন বাজে। 

আজ  ট্রামে অফিসফেরত আবার সেই গল্প শুনলাম। 
হল্যান্ডের ট্রামে বসা অফিসফেরত মন পৌঁছে গেলো দুর্গাপুরের খাটে বসা ঠাকুমার কোলে।
Hats off to technology!

সঙ্গে সঙ্গে মা কে ফোন করলাম।দারুন ভালো একটা অনুভূতি। মা বললো,
 "হাতে টাইম ছিল, তাই ফেলার আগে কয়েকটা বাজিয়ে বাজিয়ে দেখে তবে ফেলেছি"
শুনলাম কি করে মা প্লেয়ারে ওটা বাজিয়ে স্মার্ট ফোনে re-record করে আমাকে পাঠিয়েছে। 

অনেক বাহবা দিলাম ।Well done মা! থ্যাংক ইউ !
বললাম "ভাগ্গিস  দু একটা তুমি রেখে দিয়েছিলে, আমার কথা শুনে সব ফেলে দাওনি "..........

পরে আরো অনেক বার শুনলাম গল্পটা।সত্যি সুয়োরানীটা কি মারাত্মক হিংসুটে   ....
ঠাকুমা, দুর্গাপুর, ছেলেবেলা, দুয়োরানি সুয়োরানী, ছেলের স্কুলের টিফিন, কর্তার ট্রাভেল, আমার প্রজেক্ট  .... ......আরো অনেক কথা ভাবতে ভাবতে ঘুম এসে গেলো। ....

[ Audio attached]
দাদু দিদা, দাদু ঠাকুমা এক অমূল্য সম্পদ । জগতের সকল ঠাকুমা দিদিমাকে উৎসর্গ করলাম এই পোস্ট ]
pc:wikipedia


Wednesday 23 January 2019

ট্রাম ট্রাভেলস ১

Mariaর  আজও দেরি হয়ে গেলো। উষ্কখুষ্ক চুল কি আর সাধে? যত ভাবে অ্যালার্ম বাজলেই ধড়পড় করে উঠে পড়বে, কিছুতেই হয়না! চোখদুটো বড় জেদি, কিছুতেই খুলবে না। বার বার অ্যালার্ম snooze করতে গিয়ে রোজ একই কেলেঙ্কারি!  ফার্স্ট পিরিওড ফ্রেঞ্চ, Mr. Dubois বড্ড কড়া, অনেকবার ওয়ার্নিং দিয়েছেন । ট্রামটা যে কেন এত আসতে চলে ! ব্যাজার মুখ করে বাইরে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো গতি নেই  !

Peter এর অফিসটা একদম সিটি সেন্টারে। সেখানে পার্কিং পাওয়া আর ভগবান পাওয়া একই ব্যাপার।অগত্যা ট্রাম । প্রথমদিকে একদম ভালো লাগতো না। গাড়িতে অনেক আরাম, নিজের মর্জির মালিক।ট্রামের টাইমের সাথে নিজেকে এডজাস্ট করা কি চাট্টিখানি কথা? আজকাল অবশ্য খারাপ লাগে না।, নতুন করে বই পড়ার অভ্যেসটা আবার হচ্ছে । হাতে বই এর টাইটেল , " Life is what you make it", মন্দ লাগছে না ।

Jahan রোজ Edi কে স্কুলে ড্রপ করে। পাঁচ বছরের Edi ট্রামে উঠে এতো কথা বলে যে মাঝে মাঝে Jahan এর লজ্জাই লাগে! গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। ..মা এটা কেন? মা ওটা কেন? মা এটা কি? মা ওটা কি? আসলে মা ছাড়া কাকেইবা জিজ্ঞেস করবে? Rob তো উইকেন্ড বাবা ! যাগ্গে পুরোনো কথা ভেবে লাভ নেই । Edi কে ড্রপ করে দৌড় লাগাতে হবে দোকান খুলতে। "Edi, please do not press that button!!"

Ben রোজই ভাবে ব্রেকফাস্টে ডিম খাবে না । কিন্তু ঠিক সকালে  উঠে ডবল পোচ না খেলে যেন ভালো লাগেনা। কি একটা missing ! তারপর দৌড়ে ট্রাম ধরার পর কেমন জানি আইঢাই লাগে। আসলে ছোট থেকেই ওর খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।তাই ওজন ও আর পাঁচটা ১৬ বছরের ছেলের থেকে বেশি ।সকালে জিম জয়েন করার আইডিয়াটা ওর মায়ের। বসার জায়গা না পেলে ওই ব্যাজার মুখ করে সারা রাস্তা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা। ভাগ্গিস স্মার্ট ফোন আছে !

Tia overseas এসাইনমেন্ট এ আজ তিনমাস ব্যাঙ্গালোরের বাইরে। Rahul শুরু থেকেই বলছিলো, "পারবে না একা থাকতে" ।খানিকটা জোর করেই আসা । রাহুলের মা খুব সাপোর্ট করেছিলেন। বলেছিলেন, "একদম যাবি , এমনি সুযোগ কজন পায়?" Tia এই ট্রামে অফিস যাবার পথে রোজ শাশুড়ি কে গুড মর্নিং কল করে। হাসি হাসি মুখ....."মাম্মিজি আজ ব্রেকফাস্ট মে ফিরসে টোস্ট "

Henk কাল ৭৫ এ পড়লো । দুই ছেলে বৌমা নাতি নাতনি সবাই এসেছিলো। "Lang zal ze leven" গাইলো সবাই মিলে ।খুব মজা হলো । আজকে সত্যি বলতে কি একটু ক্লান্তই  লাগছে। তবে ট্রামে করে এসে Zuiderpark এ হাঁটা রোজকার রুটিন। ঐটা না হলে মন বা শরীর কোনোটাই ভালো থাকে না !

Liz আর Sam পাশাপাশি বসে। একই অফিসে কাজ করে । সেই সূত্রেই আলাপ, আলাপ থেকে ভাব, ভাব থেকে ভালোবাসা। "আজ ডিনার কে বানাবে?" "তুমি গার্ডেন দরজা লাগিয়েছিলে ঠিক করে?" "আজকে আমার টিম ডিনার আছে" "তুমি আজকে লাল টাই কেন পড়লে?" "spotify এ আরিয়ানার  নতুন গানটা শুনেছ?" হাসি খুশি মুখ   ......

...............................................................................................................
Volgende stap Javabrug. Vergeet niet uit te checken met jouw OVchipkart voor je uitstapt!
Next stop is Javabrug. Do not forget to check out with your OV-chipcard

এক ঝটকায় সম্বিৎ ফিরে পেলাম । আমার স্টপ এসে গেছে , নামতে হবে......
আজ বেশ কিছু মাস  হলো ট্রামে অফিস যাতায়াত করছি। ট্রামে কত রকম লোক ওঠে ।সবাই যেন কেমন চেনা চেনা হয়ে গেছে। ....

আবার কাল.........


Wednesday 16 January 2019

পিঠেপুলি ভাইভাই



[Chorus]
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই পিঠের রাজত্বে,
রূপেগুনে ঠাসা আজও, নই ক্যালোরি দাসত্বে!
😎
আমি একটু চ্যাপ্টা বটে, ভেতরে পুর ঠাসা,
এক কামড়ে স্বর্গলাভ ,খেতে এমন খাসা !
এক নামে চেনে সবাই, কেউ যায় না ভুলে,
ফোকলা হলেও নো প্রবলেম,নরম তুলতুলে!
পাটেপাটে ভাঁজ আমি, ফিটফাট হয়ে থাকি,
অতি সুস্বাদু পাটিসাপ্টা, প্লেটে একখান রাখি?
😎
আমি গোলগাল,নাদুস নুদুস, একটু নাহয় মোটা,
পেটে ভরা ক্ষীর-নারকোল, খাওনা দুটো গোটা ! 
কেউ ভেজে খায়, কেউ সেদ্ধ, কেউ ফুটিয়ে দুধে,
চেটেপুটে প্লেট করে সাফ, বৃদ্ধ থেকে ক্ষুদে !
চন্দ্র পুলি, মুগের পুলি, আমার অনেক নাম ,
যে নামেই ডাকো আমায়, রসনার আরাম!
😉
গোকুল বলে আদর করে সবাই আমায় ডাকে,
প্লেটে আমায় দেখলে তারা দুঃখ ভুলে থাকে !!
ওপর আমার ভাজা মুচমুচে, মাখা মিষ্টি রসে 
একটি কামড় দিলে আর মন থাকে না বশে ! 
হৃদয় আমার কোমল অতি, এমন ভরা পুর,
ভুলিয়ে দেবে সকল জ্বালা, শীতের নলেন গুড়!
😉
[Chorus]
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই পিঠের রাজত্বে,
রূপেগুনে ঠাসা আজও, নই ক্যালোরি দাসত্বে!
পিঠেপুলিতে রসনা তৃপ্ত থাকুক অনুক্ষণ,
সংক্রান্তির আমেজে আজ ভরুক সবার মন!

Tuesday 8 January 2019

ঘোর "কোহলির" সন্ধ্যা

                               ক্রিকেট পাগল ভারতবাসী 
                               আনন্দে মাতোয়ারা,
                               জিতেছে ভারত, উল্লাসে আজ,
                               উঠলো মেতে পাড়া! 
                               ছক্কা চার! পগার পার!



                                 পিটিয়ে ছাতু বলের হালত,
                                 করলো এমন পূজারা,
                                 এক পলকে বদলে দিলো 
                                  ইতিহাসের ধারা !
                                ছক্কা চার! পগার পার!


pc: NDTV
                              কর্তা নাচেন, গিন্নি নাচেন, 
                               নাচে সারা দেশ,
                               জিতের মুকুট মাথায় নিয়ে 
                               লাগছে মোদের বেশ!
                              ছক্কা চার! পগার পার!             
                               
                               ক্রিকেট পুজো সবার সেরা, 
                               ভোলায় ব্যথা সকল,
                               Pollution আর Election এর 
                               যাচ্ছে বড়ই ধকল!
                               ভুলে মন্দির, ভুলে ভাঙা ব্রিজ 
                               ভুলে বনধের জ্বালা,
                               স্ক্যামের বাজার ভুলে কিছুক্ষণ  
                               গর্ব করার পালা !
                               ক্রিকেট ফিভার চললে পরে 
                               শান্তি থাকে দেশে,
                               দেশের সবাই "এক" হয়ে যায়  
                               ক্রিকেট ভালোবেসে!
                             ছক্কা চার! পগার পার!

সাবধানবাণী :
                    ব্যাট হাতে জনতা যদি একবার মাঠে নামে, 
                     পিটিয়ে ছাতু করবে তখন সবারে ডাইনে বামে,
                     দেশটাকে "বনধ" করার, নেই কারো অধিকার,
                     ঘোর "কোহলির" সন্ধ্যা আজ, করছি হুঁশিয়ার !
                     এখনো আছে সময়, তাই বলছি বারংবার,
                     লক্ষ কোটি মাঠে নেমে আজ  ..........
                                  "ছক্কা চার! পগার পার!"


Title credits: Joydeep Mukherjee